রাজশাহী প্রতিনিধি :
রাজশাহীতে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহত শিক্ষা ভিক্তিক প্লাটফর্ম স্যাট অ্যাকাডেমি। এই একাডেমির বিস্তৃতি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেছে।
এর শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় কোটি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান আয়োজকরা। তাদের এই কার্যক্রম সমুহের পরিচিতি ও স্যাট অ্যাকাডেমি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানাতে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর অলকার মোড়ের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
“শিক্ষা হবে উন্মুক্ত, হবে বাণিজ্যমুক্ত” এই স্লোগান নিয়ে পথ চলা স্যাট অ্যাকাডেমির মূল তথ্য, উপাত্ত ও একক সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্যাট অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আজিজুর রহমান আজিজ। “আলোকযাত্রা ২০২৫-এ জেগে উঠল রাজশাহী-স্বপ্ন আর সত্যের পথে স্যাট একাডেমির বিপ্লবী অঙ্গীকার” নিয়ে তিনি উল্লেখ করেন
“তিনি শুধু স্বপ্ন দেখান না-তার বাস্তব রূপরেখাও তিনি আঁকেন। তিনি তার ১৪ বছরের আয়, মেধা, আরাম-আয়েশ সবকিছুই স্যাটে বিনিয়োগ করেচেন বলে জানান। ‘শিক্ষা হবে উন্মুক্ত, হবে বাণিজ্যমুক্ত। শুধু যেন এই একটি স্লোগান বাস্তবায়ন হয়।
তিনি আরো জানান “স্যাট অ্যাকাডেমি এখন আর কেবল একটি অ্যাপ নয়-এটি একটি আত্মা, একটি চলমান বিপ্লব। এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১০ মিলিয়নের বেশি শিক্ষার্থীকে স্পর্শ করা হয়েছে। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় অফলাইন সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তোলা।” তিনি বলেন, ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা স্পিরিট অব এডভান্সমেন্ট থ্রট ট্রুথ এন্ড ট্রানস্ফরমেশন (স্যাট) একটি ওয়ান-স্টপ অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে একাডেমিক, ভর্তি, চাকরি প্রস্তুতি ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট-সবকিছুই একসাথে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে রয়েছে, ২০ লাখ প্রশ্ন, কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী, দশ হাজার মডেল টেস্ট, এক লক্ষ একাডেমিক কনটেন্ট, ই-কসশান বিলডার এন্ড এক্সাম জেনারেটর, এ্যানরোইড ও ওয়েভ দুই প্লাটফর্মেই সক্রিয়। সাংবাদিকদের জাতির বিবেক উল্লেখ করে তিনি এই স্বপ্নের কণ্ঠ দূর পাহাড়ের শিশুর কাছেও পৌঁছে দিতে সহযোগিতা কামনা করেন। সেইসাথে মালালা ইউসুফজাই, আইডা বি. ওয়েলস এবং অরসন ওয়েলসের শিক্ষা এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা উদাহরণস্বরুপ তুলে ধরেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এই স্যাটের পেছনে থাকা মানুষটিও শুধুই মেধা নয়, বিনিয়োগ করেছেন প্রায় ১.৫ কোটি টাকা, ্দিয়েছেন পরিবার, স্বাস্থ্য, সময় এবং আরাম-আয়েশের বিসর্জন। একসময় সমাজের অনেকে তাকে আখ্যা দিয়েছিল-’ফ্রি কো০ি০০চং এর নামে জঙ্গি প্রশিক্ষক”। এক সময় রাতারাতি তাঁকে ছাড়তে হয়েছিল প্রিয় শহর চাঁদপুর। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৬৪ জেলায় অফলাইন সাপোর্ট হাব হবে। এছাড়াও প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিনা খরচে ক্যারিয়ার-সহায়ক রোডম্যাপ, গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য অফলাইন টেস্ট সেন্টার, প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বশিক্ষিত, নেতৃত্বদানে সক্ষম নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার একটাই চাওয়া রাষ্ট্র যেন তাঁর পাশে দাঁড়ায়। এতে করে তিনি স্যাট এর প্রতিটি ফিচার আবারও শতভাগ ফ্রি করে দেবেন। ”
শেষে তিনি বলেন, “তোমরা কেবল অনুসরণ করো না, নেতৃত্ব দাও”। এই স্যাট শুধু একটি ওয়েব কিংবা অ্যাপ নয়-এটি একটি চেতনা। আমরা শুধু শিক্ষাই না- একটি চরিত্র গঠনেও ভুমিকা রাখতে চাই। জাতিকে বলতে চাই-টাকার পেছনে নয়, জ্ঞানের পেছনে দৌড়াও-সারা দুনিয়া তোমার পেছনে দৌঁড়াবে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র স্যাটিয়ার রেজয়ান সিদ্দিক তামিম, ম্যানেজার নাজ্জার হোসেন রাজু, শিক্ষক মারুফ হোসেন, কনটেন্ট টিম লিডার ইফতেকার রহমান ধ্রুব ও শিক্ষক ও ট্রেইনরা মেহেরুন্নেসা মিম। এছাড়াও প্রিন্ট, ইলেক্ট্রানিক ও অনলাইন পোর্টাল এর সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।