আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চরম উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। ভারতের সামরিক অভিযানের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলায় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ৯টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে। রাজস্থান, পাঞ্জাব ও গুজরাট রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের অন্তত ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এতে পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত HQ-9 এয়ার ডিফেন্স মিসাইল লাঞ্চার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জবাবে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত তাদের ৬টি এলাকায় ২৪টি আঘাত হেনেছে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
এদিকে ভারত দাবি করছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিশোধেই তারা এ অভিযান চালিয়েছে। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং ফিরোজপুর সীমান্তে এক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
পাঞ্জাব রাজ্য, যেটি পাকিস্তানের সঙ্গে ৫৩২ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নেয়, সেখানে জনসমাবেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য গণপরিসর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান তার নির্ধারিত কার্যক্রম স্থগিত করে রাজ্যের পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষাবাহিনী হিসেবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে দুই দেশই নিজেদের প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে অশান্তির শঙ্কা তৈরি করছে।
আপনি কি এই প্রতিবেদনটি আরও সংক্ষিপ্তভাবে চান, নাকি একটি সংবাদপত্রের উপযোগী রূপে?