
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস)-এর অধ্যাপক এবং আওয়ামী লীগপন্থী ‘হলুদ প্যানেল’-এর সদস্য প্রফেসর ড. জাকির হোসেনকে শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং বুদ্ধিজীবী মহলে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস)সূত্রে জানা গেছে যে প্রফেসর ড. জাকির হোসেন এই নিয়োগের পূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেননি। বর্তমানে তিনি আইবিএস-এর হোস্টেল ওয়ার্ডেন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। একাধিক দায়িত্ব পালন ও প্রশাসনিক অনুমতি না নিয়েই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করায় নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’কে বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস)’র শিক্ষক অধ্যাপক প্রফেসর ড. জাকির হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী ‘হলুদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে ছিলেন তিনি ফ্যাসিস্টের দোষর ছিলেন ছাত্র জনতার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কাজ করেছেন এমন একজন ব্যক্তিকে কি ভাবে রাষ্ট্রের এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যারাই তাঁর নাম সুপারিশ করেছে এটা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং অবিলম্বে তার নিয়োগ টি বাতিলের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,
“শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রফেসর ড. জাকির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেননি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস)পরিচালক ড. এম মোস্তফা কামাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস)’র শিক্ষক প্রফেসর ড. জাকির হোসেনের শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না এবং ইনস্টিটিউট থেকেও তিনি কোনো অনুমতি নেননি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক বাইরের দায়িত্ব গ্রহণ করতে চাইলে তাকে অবশ্যই পূর্বানুমতি নিতে হয়। এই নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রফেসর ড. জাকির হোসেনের নিয়োগ নিয়ে চলছে সমালোচনা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী ‘হলুদ প্যানেল’ বিজয়ী হয়। প্রফেসর ড. জাকির হোসেন ছিলেন ওই প্যানেলের একজন নির্বাচিত সদস্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও বিশিষ্টজন মনে করছেন, আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে এবং আনুগত্য বজায় রাখার জন্যই প্রফেসর ড. জাকির হোসেনকে শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য করা হয়েছে। তাদের মতে,
“এটি প্রমাণ করে দেশে এখনো একটি শ্রেণি আওয়ামী লীগ’কে সুযোগ সুবিধা দিতেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করা হচ্ছে তাদের। এমন নিয়োগে শুধু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ণ করছে না, বরং প্রশাসনিক কাঠামোতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এ বিষয়ে প্রফেসর ড. জাকির হোসেনে’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি কিছু বলতে চাই না আমি এখন ব্যস্ত আছি