
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ
আজ, ১৪ মার্চ শুক্রবার বেলা ৫ টার সময় রাজশাহীর ছোটবোন গ্রামের শিশু পার্কে আসাম কলোনী ইয়ুথ স্পোর্টিং ক্লাবের নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজসেবক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিকেল ৫টায়, যেখানে সভাপতি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করেন। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে নবগঠিত কমিটির পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রাণচাঞ্চল্য আসে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোসাঃ শাকিলা ফরহাদ বানু। তিনি বলেন,
“একটি সংগঠন কেবল ক্রীড়ার ক্ষেত্রেই নয়, বরং সামাজিক সচেতনতা, মানবিকতা ও একতা গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসাম কলোনী ইয়ুথ স্পোর্টিং ক্লাবের নবগঠিত কমিটি নিঃসন্দেহে যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে। আমি এই ক্লাবের সফলতা কামনা করি এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের গঠনমূলক উদ্যোগের পাশে থাকবো।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনঃ
মোঃ রফিকুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, রাজশাহী মহানগর,
মোঃ আব্দুল কাদের উৎসব, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ, রাজশাহী মহানগর,
মোঃ রুমন শরিফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিঃ মোঃ আরিফুজ্জামান সোহেল, সদস্য সচিব, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ, রাজশাহী মহানগর এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (DEAB), রাজশাহী বিভাগ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,
“যুবসমাজকে উৎসাহিত ও সংগঠিত করতে এই ক্লাব একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম। আমরা চাই সমাজের উন্নয়নে তরুণরা সামনে এগিয়ে আসুক। এই কমিটির মাধ্যমে আমরা নতুন কিছু করার প্রত্যয় নিয়েই পথচলা শুরু করেছি।”
ইফতারের পূর্বে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত, যেখানে দেশের শান্তি, কল্যাণ এবং ক্লাবের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করা হয়।
ইফতার মাহফিল শেষে আয়োজকরা আগত সকল অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তারা বলেন, এই অনুষ্ঠান শুধু একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ নয়, বরং সমাজ গঠনে নতুন দায়িত্বশীল ভূমিকার সূচনা।
অনুষ্ঠানে আসাম কলোনী ইয়ুথ স্পোর্টিং ক্লাবের
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সকল সদস্য ও নবগঠিত কমিটির সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকদের বক্তব্যে উঠে আসে—এই ক্লাব কেবল ক্রীড়া সংগঠন নয়, বরং একটি সমাজ সচেতন, মানবিক ও উন্নয়নমুখী প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই কাজ করবে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি ছিল এক আবেগঘন, ভাবগম্ভীর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত একটি গঠনমূলক মিলনমেলা, যা ক্লাবের ভবিষ্যৎ কর্মপথকে আরও সুদৃঢ় করে তুলবে।